সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
যশোর প্রতিনিধি, কালের খবর :
যশোরের বাঘারপাড়ায় ৫ বছরের শিশুকন্যা তাসনিয়া হত্যাকাণ্ডে অবিশ্বাস্য এক তথ্য পাওয়া গেছে।পুকুরে ডুবে না, তাকে বিকৃতযৌন হয়রানির পর মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করে পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত কিশোরী ইশিতা আক্তার ঋতু (২০)। পৈশাচিক এ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে অভিযুক্তসহ মা বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে যশোরে পিবিআই।
নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু তাসনিয়ার পিতা রজিবুল ইসলাম জানান, ২০ সেপ্টেম্বর তার ছোট শিশুকন্যা নিখোঁজের খবর পেয়ে রাতভর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে হদিশ মেলাতে ব্যর্থ হন। পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে টার দিকে প্রতিবেশি আব্দুর রাজ্জাকের পুকুরে তাসনিয়াকে ভাসতে দেখে । যেকারণে ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফনের জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চান। কিন্তু সুরোতহাল রিপোর্ট করার সময় পুলিশের সন্দেহ হয়-মেয়েটির ঠোঁটে কালো দাগ দেখে থানার ওসি আব্দুর রাকিবের নির্দেশে লাশটির ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশের ভাষ্যমতে-ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে যৌন হয়রানি, মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি উঠে আসে।বিষয়টি জানতে পেরে পিবিআই যশোর ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মোঃ মোস্তফা কামাল (ডিআইজি (সিআরও-পূর্বাঞ্চল) এর নির্দেশে বাংলাদেশ পুলিশের সঠিক তত্ত্ববধান ও দিক নিদের্শনায় পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন পিপিএম-সেবা এর নেতৃত্বে একদল ফোর্স অভিযানে নেমে আসামিদের গ্রেফতার করেন।
প্রধান ঘাতক ইশিতা আক্তার ঋতু স্বীকার করেন তিনি পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত। তিনি মোবাইল সেক্স ভিডিও দেখছিলেন। এ সময় তাসনিয়া তার ঘরে ঢুকলে তাকে কাছে ডেকে অশ্লীল ভিডিও দেখায়। এক পর্যায়ে শিশুটির যৌনাঙ্গে ইশিতা আক্তার ঋতু আঙুল দিয়ে যৌনসুখ উপভোগ করছিলেন। এক পর্যায়ে শিশু তাসনিয়া প্রচুর রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় ভয় পেয়ে যায় ঋতু। এক পর্যায়ে লোহার শাবল দিয়ে প্রথমে তার মাথায় আঘাত করে। এরপর গলাচেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমীন সাংবাদিকদের বলেন, ছায়া তদন্ত শুরু করে পিবিআই । প্রথমে রিতুর বাবা ঘটনাটি স্বীকার করেন। এরপর সব বেরিয়ে আসে। রিতুর বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়েছেন তাসনিয়া। রিতু পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ছিলো। ঘটনার সময় শিশুটি চিৎকার দেয়। পরে ওই শিশুকে শাবল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে।